শীতে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার সহজ কিছু উপায় 

ভোরের দিকে হালকা হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে, শীত আসছে। বেশিরভাগ মানুষই শীত পছন্দ করলেও, আমাদের ত্বক এই ব্যাপারে পুরোই উল্টো। অয়েলি স্কিনের মানুষরা শীতে অতিরিক্ত তেল থেকে বাঁচলেও মুখ ধোয়ার পরপরই শুষ্ক ভাব ও ত্বকে টানটান ভাব অনুভব করেন। আর যাদের এমনিতেই কিছুটা ড্রাই স্কিন, তাদের জন্য এই শীতের সময়টা যেন এক দুঃস্বপ্ন। 

শীত এখনও পুরোপুরি না পড়লেও চামড়া কুচকে যাওয়া, ত্বকে টান ভাব, হাত-পা ফেটে যাওয়াসহ শীতকালীন নানান স্কিন প্রবলেমগুলো ইতিমধ্যেই দেখা দিতে শুরু করেছে। এ সময় আমাদের জন্য সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় ত্বকের আদ্রর্তা ধরে রাখা। 

আজকের ব্লগে ত্বকের আদ্রর্তা ধরে রাখার সেরকমই কিছু বেসিক বিষয় জানানোর চেষ্টা করছি। 

  • পর্যাপ্ত পানি পান করা  

আমাদের শরীর ভেতর থেকে আর্দ্র না থাকলে সবার আগে এর প্রভাব পড়ে ত্বকের উপর। প্রত্যেকের উচিত দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা। কিন্তু ম্যাক্সিমাম মানুষই অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতে পানি অনেক কম পান করেন। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার পাশাপাশি এ সময় ফলের রস খাওয়ার অভ্যেস গড়ে তুলুন।  

  • গোসলের সময় গরম পানি এবং ক্ষারযুক্ত সাবানের ব্যবহার কমানো  

শীতে প্রায় মানুষই গোসলের জন্য গরম পানি ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এই পানি যেন কোনভাবেই কুসুম গরম থেকে বেশি না হয় তা খেয়াল রাখতে হবে। ডার্মাটোলজিস্টদের মতে, অতিরিক্ত গরম পানি ত্বকের কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে ত্বক নিজের ময়েশ্চার হারিয়ে ফেলে।  

এছাড়া এ সময় বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার না করে গ্লিসারিন যুক্ত সাবান অথবা শাওয়ার জেল ব্যবহার করা উচিত। 

  • অতিরিক্ত ক্লিনজিং ও স্ক্রাবিং করা থেকে বিরত থাকা   

ত্বক পরিষ্কার রাখা মানেই কিন্তু বারবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া নয়। এতে ত্বকে থাকা প্রাকৃতিক তেল বের হয়ে যায় এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। দিনে দুইবার মুখ ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিন। এছাড়া, শীতে অনেকে চামড়া উঠতে দেখলেই বারবার স্ক্রাবিং করেন। অতিরিক্ত স্ক্রাবিং আমাদের ফেইস ওভার ড্রাই করে ফেলে। সপ্তাহে দুইবারের বেশি স্ক্রাবিং করা মোটেও উচিত নয়। আর শীতের সময়টা একবার স্ক্রাবিং করাই যথেষ্ট।   

  • মুখে ময়েশ্চারাইজার ও শরীরের ময়েশ্চারাইজিং লোশন এর ব্যবহার  

শীতের শুরু থেকেই আবহাওয়ায় হিউমিডিটি কমতে থাকে এবং এর কারণে ত্বকের শুষ্কতাও বাড়তে থাকে।  

সকালে ঘুম থেকে উঠে জেন্টাল ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে, সাথে সাথে ফেইসে একটি ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ক্রিম বেইজড বা অয়েল বেইজড ময়েশ্চারাইজারগুলো শুষ্ক ত্বকের জন্য খুব ভালো কাজ করে। শরীরের ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে ময়েশ্চারাইজিং ইনগ্রিডিয়েন্ট আছে, এ ধরনের লোশন ব্যবহার করুন।  

এই শীতে সব ধরনের স্কিনের জন্য ল‌্যাভিনোর ব্রাইটেনিং ময়েশ্চারাইজার ও নারিশিং লোশন হতে পারে একটি পারফেক্ট কম্বো। এই প্রোডাক্ট দুটি আমাদের স্কিনের ময়েশ্চার ধরে রেখে স্কিনকে অতিরিক্ত ড্রাই হতে দেয় না। 

এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখার পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন শীতকালীন শাকসবজি। ভিটামিন এ, সি ও ই ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। বিভিন্ন সবুজ ও হলুদ শাকসবজি ও ফলমূলে এই ভিটামিন গুলো সহজেই পাওয়া যায়। রেগুলার ডায়েটে রাখতে পারেন কমলা, গাঁজর, ফুলকপি ও বাঁধাকপির মতো সবজি। এগুলোতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা অক্সিডেটিভ ড্যামেজ হওয়া থেকে আমাদের ত্বককে প্রটেক্ট করে। পাশাপাশি ত্বকে পুষ্টি জুগিয়ে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ত্বক শুষ্ক হতে দেয় না।  

হেয়ার কেয়ার এবং স্কিন কেয়ারের অথেনটিক সব প্রোডাক্ট পেতে ভিজিট করুন mylavino.com এ। অথবা অর্ডার করুন ফেসবুক পেজ Lavino থেকে।  

                                                          লিখেছেন আফরোজ জান্নাত হৃদিতা 

0
    0
    Your Cart
    Your cart is empty