চলছে পবিত্র রমজান মাস। এ সময় প্রতিদিন রোজা রেখে নিয়মিত খাবার রুটিনে পরিবর্তন, পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতি সহ নানা কারণে আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের কিছুটা অবনতি ঘটে। তেমনি এ মাসটায় আমাদের ত্বকেও নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়। পানি শূন্যতার প্রভাবে ত্বকে হাইড্রেশনের অভাব, আবার অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়ায় একনির সমস্যাও হয়ে থাকে। তাই এই পুরোটা মাস জুড়ে আমাদের ত্বকের জন্য প্রয়োজন হয় স্পেশাল কেয়ার। রোজায় নিজের ত্বক হেলদি ও গ্লোয়িং রাখতে দুটি বিষয়ের প্রতি আমাদের খেয়াল রাখতে হয়।
১। খাদ্যাভ্যাস
২। একটি প্রোপার স্কিন কেয়ার রুটিন
এই দুটি বিষয় নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা থাকছে আজকের ব্লগে।
- খাদ্যাভ্যাস
রোজা শুরুর পর থেকেই গরমের তীব্রতাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। আর দীর্ঘক্ষণ পানির অভাবে ত্বক রুক্ষ, নিষ্প্রাণ ও মলিন হয়ে যাচ্ছে। তাই এ সময় স্কিনের প্রোপার হাইড্রেশনের দিকে নজর দেয়া সবথেকে বেশি জরুরী। ইফতার ও সেহেরির মধ্যবর্তী সময়ে দৈনিক ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি ত্বক ও শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। সম্ভব হলে প্রতিদিন ফ্রেশ ফ্রুট জুস খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। সেই সাথে ইফতারে অয়েলি ফুডের পরিবর্তে রাখতে পারেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন, ফাইবার ও ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার, যা আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন জোগান দেয়ার পাশাপাশি স্কিনকেও গ্লোয়িং রাখতে হেল্প করে।
- স্কিন কেয়ার রুটিন
যদিও সারা বছরই আমাদের একটি বেসিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলা উচিত, তবে রোজার মাসটা এ বিষয়ে আরও সচেতন হওয়া দরকার।
সানস্ক্রিন
রমজান মাস চলে আসলেও বাইরে বের হওয়া যেহেতু আমাদের বন্ধ নেই, তাই বেরোনোর আগে অবশ্যই একটি ভালো মানের সানস্ক্রিন এপ্লাই করতে হবে। সানস্ক্রিন ব্যবহারের সময় মাথায় রাখতে হবে যেন সেটি হয় SPF 50 এবং ব্রড স্পেকট্রাম, যা UVA এবং UVB থেকে আমাদের স্কিনকে প্রটেক্ট করবে। এছাড়া বাইরে বের হলে ছাতা, টুপি ও সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
ক্লিনজার
দিনে দুবার ত্বক ক্লিন করা জরুরি। এমন একটি ফেসওয়াশ স্কিন কেয়ার রুটিনে এ্যাড করুন, যা আপনার ফেইস ঠিকঠাক ভাবে ক্লিনও করার পাশাপাশি ওভার ড্রাই বা রুক্ষ করবে না। এক্ষেত্রে মিল্ক বেইজড কোন ফেসওয়াশ বেছে নিতে পারেন।
টোনার
ফেসওয়াশের পর ব্যবহার করুন টোনার বা একটি হাইড্রেটিং ফেইস মিস্ট, যা টোনার হিসেবে কাজ করে ফেইসকে হাইড্রেটেড রাখবে।
ময়েশ্চারাইজার
নিয়মিত ভালো মানের একটি ময়েশ্চারাইজার দিনে অন্তত দুবার ব্যবহার করুন। ত্বক ময়েশ্চারাইজড এবং হাইড্রেটেড না থাকলে আরলি এজিং সাইনসহ আরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সুদিং জেল
ফেইসের হাইড্রেশন ধরে রাখতে এবং ফেইস নরম ও মোলায়েম রাখতে সুদিং জেল খুব ভালো কাজ করে। প্রতিদিন নিজের স্কিন কনসার্ন অনুযায়ী সুদিং জেলের ব্যবহার স্কিনকে ঠান্ডা, সতেজ ও ময়েশ্চারাইজড রাখে।
পুরো রমজান মাস জুড়ে তাই এই ছোট ছোট বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রেখে সব সময়ের মতো নিজেকে রাখুন গ্লোয়িং এন্ড রিফ্রেশিং। স্কিন কেয়ারের অথেনটিক সব প্রোডাক্ট পেতে ভিজিট করুন mylavino.com এ। অথবা অর্ডার করুন ফেসবুক পেজ Lavino থেকে।
লিখেছেন আফরোজ জান্নাত হৃদিতা